নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (১৫) হত্যায় দুই রোহিঙ্গা কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্প থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ভাসানচর থানা পুলিশ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য শুক্রবার তাদের নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে ৮ জুন জাহিদ নিখোঁজ হয়। ১২ জুন ভাসানচর হাসপাতাল-সংলগ্ন বেড়িবাঁধের কাছে গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৯০ নম্বর ক্লাস্টারের প্রয়াত আবদুল মালেকের ছেলে।
ভাসানচর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, জাহিদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া দুই কিশোরের পূর্বশত্রুতা ছিল। গত ৮ জুন রাতে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তারা জাহিদকে ভাসানচর হাসপাতালের পাশের বেড়িবাঁধে নিয়ে যায়। সেখানে এক কিশোর ছুরি দিয়ে জাহিদকে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে তার হাত-পা ও শরীরের অন্য অংশ কাটা হয়। এ ছাড়া জাহিদের মোবাইল ফোনটি নিয়ে গিয়ে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে দেয় তারা।
ওসি আরও জানান, ১২ জুন লাশ উদ্ধারের পরদিন জাহিদের ভাই অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ভাসানচর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় জাহিদের মোবাইল ফোনটি শনাক্ত করে। পরে সেই সূত্রে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।