স্টমাক অর্থাৎ পাকস্থলীর ব্যথা নানা কারণে হয়। যেমন-বেশি গ্যাস জমলে, কোষ্ঠবদ্ধতা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ভোজন বা পাকস্থলীর সংক্রমণ। পাকস্থলীর ব্যথা কখনো কখনো নিজস্ব কোনো উপসর্গ তৈরি না-ও করতে পারে, বরং তার উৎপত্তি হতে পারে অন্য কোনো অঙ্গ থেকে। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ,চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
লক্ষণ ও উপসর্গ্ল
- বমি
- বমি বমি ভাব
- ডায়রিয়া
- কোষ্ঠবদ্ধতা
- গলা ব্যথা
- বুক জ্বলা
- জ্বর
- ঢেকুর ওঠা
- পেট কামড়ানো
- ব্যথাযুক্ত প্রস্রাব
মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা, যদি—
- ঘন ঘন, তীব্র, মারাত্মক প্রকৃতির ব্যথা হয়
- ব্যথা—পেটের থলি থেকে শুরু হয়ে পেটের নিচে ডান পাশে যাচ্ছে
- ব্যথার কারণে হাঁটতে অসুবিধা হয়
- বারবার বমি, বিশেষত সবুজ-হলুদাভ রঙের
- পানিস্বল্পতার চিহ্ন
- মলত্যাগে ব্যথা
- রক্ত বা কালো পায়খানা
- দু-এক দিনের বেশি সময় ধরে খাবার খেতে অনীহা
প্রতিরোধমূলক : শিশুকে উৎসাহ দেওয়া
- বেশি না খাওয়া এবং বিছানায় যাওয়ার দু-এক ঘণ্টা আগে আহার গ্রহণ
- অন্যের ব্যবহৃত কাপ, পিরিচ, চামচ ব্যবহার না করা
- প্রচুর পানি ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ যেমন—ফলমূল ও শাক-সবজি
- বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, ফ্রাই, বার্গার—এসব না খাওয়া
- হাত ধোয়ার অভ্যাস, বিশেষ করে খাবার গ্রহণের আগে এবং বাথরুম থেকে আসার পর
- পর্যাপ্ত ঘুম
- পরিবারে নিজের দুশ্চিন্তা নিয়ে কথা বলা, এতে মানসিক চাপ কমে যাবে।